Class 6 Agriculture Assignment Answer 14th week

ক্লাসঃ ৬ষ্ঠ
শ্রেণি বিষয়ঃ কৃষি শিক্ষা
এসাইনমেন্ট এর শিরোনামঃ কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি

১। কৃষি প্রযুক্তি কি?
উত্তরঃ কৃষি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও কলাকৌশলকে কৃষি প্রযুক্তি বলা হয়।

২। কৃষি প্রযুক্তির বিষয়গুলো কি কি?
উত্তরঃ ফলস উৎপাদন, গৃহপালিত প্রাণী পালন, মৎস্য চাষ, বনায়ন।

৩। বিষয় ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তিগুলোর তালিকা তৈরি করো।
উত্তরঃ ফলস উৎপাদন- বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত, লবণ সহনশীল জাত, গোবর সার, জীবাণু সার, রাসায়নিক সার, সার ব্যবহারের মাত্রা, কীটনাশক, কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা, সাথী ফসল, সবুজ সার, পাওয়ার টিলার, লোলিফট পাম্প, গভীর নলকূপ, সেঁউতি, দোন ইত্যাদি। গৃহপালিত প্রাণী পালন- উন্নত জাতের গবাদিপশু, উন্নত জাতের হাঁস-মুরগি, গরু মোটাতাজাকরণ, কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ, একত্রে হাঁস-মাছ-ধান চাষ, হাঁস-মুরগির সুষম খাদ্য, উন্নত পদ্ধতিতে বাচ্চা উৎপাদন, উন্নত পদ্ধতিতে ডিম সংরক্ষণ, পশু-পাখির রোগ দমন ইত্যাদি। মৎস্য চাষ- খাঁচায় মাছ চাষ, মাছ ধরার বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমনঃ পলো, জাল, বড়শি, পুকুরের পানি শোধন, তেলাপিয়া ও নাইলোটিকার চাষ, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি। বনায়ন- সামাজিক বনায়ন, কৃষি বনায়ন, বৃক্ষ ও মাঠ ফসল চাষ পদ্ধতি, বনজ ও ফলদ উদ্ভিদ চাষ পদ্ধতি, বৃক্ষ ও গো-খাদ্য চাষ পদ্ধতি, চারা উৎপাদন পদ্ধতি ইত্যাদি।

৪। জমি চাষ না করে কিভাবে তুমি দানা জাতীয় ফসল চাষ করবে?
উত্তরঃ যেমন জমি চাষ না করে ভুট্টা চাষ করা যায়। বর্ষার পানি নেমে গেলে জমি কাদাময় থাকে। সেই জমিতে ভুট্টার বীজ রোপণ করলে ভালো ফলন হয়। এতে অর্থ আয় হয় এবং শ্রম কম লাগে। 

৫। বিদ্যুৎবিহীন গ্রামীণ পরিবেশে একজন কৃষক কিভাবে ডিম সংরক্ষণ করবে?
উত্তরঃ সাধারণত ডিম ৫-১০ দিনের বেশি ভালো থাকে না। ঘরের মেঝেতে গর্ত করে সেই গর্তে হাঁড়ি বসিয়ে ডিম রাখা হয়। গর্তে হাঁড়ির চারদিকে কাঠ-কয়লা রেখে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে ডিম ঠান্ডা থাকে এবং ২০-২৫ দিন ডিম ভালো থাকে।

৬। বন্যা মৌসুমে হাওর এলাকায় তুমি কোন প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করবে এবং কেন?
উত্তরঃ খাঁচায় মাছের চাষ আমাদের দেশে নতুন হলেও উত্তর আমেরিকায় অনেক আগে থেকেই এর ব্যবহার চলে এসেছে। যেসব এলাকায় নদী-নালা, হাওর, খাল-বিল আছে সেসব এলাকার কৃষকেরা এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে পারেন। নদীতে বা বিলে বা যেকোনো উন্মুক্ত জলাশয়ে খাঁচা বানিয়ে পুকুরের আকার দেওয়া হয়। ¯্রােত হীন বা কম ¯্রােতের পানিতে খাঁচা বসাতে হবে। বেশি ¯্রােতে খাঁচার ব্যবস্থাপনা কঠিন ও ব্যয়সাধ্য। খাঁচা খুঁটি বা প্ল্যাটফর্ম দ্বারা বসাতে হবে। খুঁটির চেয়ে প্ল্যাটফর্ম বেশি ভালো। তেলের ড্রাম দ্বারা প্ল্যাটফর্ম করা যায়। প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে যেকোনো গভীরতা বসানো যায়। খাঁচায় মাছের চাষ হল নিবিড় চাষ।

৭। তুমি গবাদিপশুর একটি ফার্ম করতে চাইলে শীত মৌসুমে পশুগুলোর জন্য কিভাবে কাঁচা ঘাসের অভাব পূরণ করবে? উত্তরঃ শীতকালে অনেক স্থানেই ঘাসের অভাব দেখা যায়। বর্ষাকালে যখন ঘাস প্রচুর জন্মে, তখনই শুকনা মৌসুমের জন্য গো-খাদ্যের ব্যবস্থা করতে হয়। এজন্য কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ পদ্ধতিকে সাইলেজ বলা হয়। এতে ঘাসের পুষ্টিমানের কোনো পরিবর্তন হয় না। যে নির্দিষ্ট স্থানে বা গর্তে ঘাস সংরক্ষণ করা হয়, তাকে বলা হয় সাইলোপিট। সাইলোপিটে বায়ুরোধক অবস্থা তৈরি করতে হয়। বায়ুরোধক অবস্থায় ঘাসে ল্যাকটিক এসিড তৈরি হয়। এই ল্যাকটিক এসিড কাঁচা ঘাস সংরক্ষণে কাজ করে।
সাইলেজ তৈরির পদ্ধতি আলোচনা করা হলো-
ক) কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের জন্য প্রথমেই শুকনা ও উঁচু জায়গা নির্ধারণ করতে হবে।
খ) নির্ধারিত স্থানে এক মিটার গভীর, এক মিটার প্রস্থ এবং এক মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি গর্ত তৈরি করতে হবে। 
গ) ১ ঘনমিটার একটি গর্তে প্রায় ৭০০ কেজি কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ করা যায়।
ঘ) কাঁচা ঘাসের শতকরা ৩-৪ ভাগ চিটাগুড় একটি চাড়িতে নিতে হবে।
ঙ) এরপর চিটাগুড় এর সাথে সমপরিমাণ পানি মিশাতে হবে।
চ) গর্তের তলায় পলিথিন বিছালে ভালো হয়। পলিথিন না বিছালে পুরু করে খড় বিছাতে হবে এবং চারপাশে ঘাস সাজানোর সাথে সাথে আস্তরণ দিতে হবে।
ছ) এরপর ধাপে ধাপে ৭০০ কেজি কাঁচা ঘাস দিয়ে ২০-৩০ কেজি শুকনা খড় দিতে হবে।
জ) প্রতিটি ধাপে ১৫ থেকে ২০ কেজি চিটাগুড়-পানির মিশ্রণ সমভাবে ছিটাতে হবে।
ঝ) এভাবে ধাপে ধাপে ঘাস ও খড় বিছিয়ে ভালোভাবে পা দিয়ে পাড়াতে হবে, যাতে বাতাস বেরিয়ে যায়।
ঞ) ঘাস সাজানো শেষ হলে খড়ের আস্তরন দিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ট) সর্বশেষে পলিথিনের উপর ৭.৫-১০ সেন্টিমিটার মাটি পুরু করে দিতে হবে। 

Comments

Popular posts from this blog

Accounting 6th Week Class 9 Assignment Answer